ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ট্রাম্পের নতুন শুল্কে ছাড় পেল স্মার্টফোন ও কম্পিউটার যেসব পণ্য আদান-প্রদান করে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলের কারণে পিতা পুত্রের বয়সের তফাত ১২ বছর ফরহাদ মজহারের বক্তব্য বিএনপি ও দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে: বিএনপি নেতা এ্যানি ভারতে তারাবির সময় মসজিদে ‘হামলা’,পুলিশ বললো ‘ঐতিহ্য’! অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত: গোলাম পরওয়ার চন্দ্রগঞ্জে তোফায়েল ফাউন্ডেশনের রমজানে কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে দিলেন স্বামী। চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল।

ট্রাম্পের নতুন শুল্কে ছাড় পেল স্মার্টফোন ও কম্পিউটার

মোঃ তাবিবুর
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক নীতির আওতায় স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক পণ্য আপাতত শুল্ক থেকে বাদ পড়েছে। চীনসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ থেকে আমদানি করা এসব পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হলেও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।

শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থা কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রল। তারা জানিয়েছে, ট্রাম্পের আরোপিত ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। বিশেষভাবে চীন থেকে আমদানি করা স্মার্টফোন, সেমিকন্ডাক্টর, মেমোরি কার্ড, সোলার সেলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যে শুল্ক ছাড় বহাল থাকবে।

গত ২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ওপর বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কারণ, অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিদেশে উৎপাদন করে দেশে আমদানি করে। বিশেষ করে চীন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অ্যাপল ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপলের মোট আইফোন বিক্রির অর্ধেকের বেশি যুক্তরাষ্ট্রেই হয়। আর এই বাজারের জন্য তৈরি আইফোনের প্রায় ৮০ শতাংশ উৎপাদিত হয় চীনে, বাকিগুলো ভারতে। চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে অ্যাপল ও স্যামসাং-এর মতো কোম্পানিগুলো সরবরাহ চেইনে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে ভারত ও ভিয়েতনাম নতুন উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবস্থা অন্যায্য। তাই নতুন শুল্ক নীতির মাধ্যমে একদিকে বাণিজ্য ব্যবস্থার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে।

প্রথমে ঘোষিত হয়, ৯ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। কিন্তু ওই দিন চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের জন্য তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এটি দর-কষাকষির কৌশলের অংশ, যাতে ভবিষ্যতের বাণিজ্য চুক্তিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও লাভজনকভাবে করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ট্রাম্পের নতুন শুল্কে ছাড় পেল স্মার্টফোন ও কম্পিউটার

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক নীতির আওতায় স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক পণ্য আপাতত শুল্ক থেকে বাদ পড়েছে। চীনসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ থেকে আমদানি করা এসব পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হলেও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।

শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থা কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রল। তারা জানিয়েছে, ট্রাম্পের আরোপিত ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। বিশেষভাবে চীন থেকে আমদানি করা স্মার্টফোন, সেমিকন্ডাক্টর, মেমোরি কার্ড, সোলার সেলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যে শুল্ক ছাড় বহাল থাকবে।

গত ২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ওপর বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কারণ, অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিদেশে উৎপাদন করে দেশে আমদানি করে। বিশেষ করে চীন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অ্যাপল ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপলের মোট আইফোন বিক্রির অর্ধেকের বেশি যুক্তরাষ্ট্রেই হয়। আর এই বাজারের জন্য তৈরি আইফোনের প্রায় ৮০ শতাংশ উৎপাদিত হয় চীনে, বাকিগুলো ভারতে। চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে অ্যাপল ও স্যামসাং-এর মতো কোম্পানিগুলো সরবরাহ চেইনে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে ভারত ও ভিয়েতনাম নতুন উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবস্থা অন্যায্য। তাই নতুন শুল্ক নীতির মাধ্যমে একদিকে বাণিজ্য ব্যবস্থার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে।

প্রথমে ঘোষিত হয়, ৯ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। কিন্তু ওই দিন চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের জন্য তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এটি দর-কষাকষির কৌশলের অংশ, যাতে ভবিষ্যতের বাণিজ্য চুক্তিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও লাভজনকভাবে করা যায়।