বাবা সম্পদ বন্টননামা এবং নামজারী করার নিয়ম

- আপডেট সময় : ০৫:০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

সম্পত্তি বন্টননামা:
যদি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে একাধিক ওয়ারিশ থাকেন, তাহলে তাদের মধ্যে একটি আপোষ বণ্টননামা দলিল সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করতে হবে। বন্টননামা করার নিয়ম:
১. সকল ওয়ারিশগণকে সম্মতিতে আসতে হবে যে কিভাবে সম্পত্তি ভাগ করা হবে।
২. একটি বন্টননামার খসড়া তৈরি করতে হবে, যেখানে সম্পত্তির বিবরণ এবং প্রত্যেক ওয়ারিশের অংশ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
৩. স্ট্যাম্প পেপারে বন্টননামাটি লিখতে হবে এবং সকল ওয়ারিশকে স্বাক্ষর করতে হবে।
৪. বন্টননামা দলিলটি রেজিস্ট্রি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থাপন করতে হবে।
৫. রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধ করতে হবে।
বন্টননামা দলিলের রেজিস্ট্রেশন খরচ সম্পত্তির মূল্যের উপর নির্ভর করে। এছাড়া স্ট্যাম্প শুল্ক, ই-ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচও প্রযোজ্য হবে।
নামজারী:
নামজারী হলো জমিতে নতুন মালিকের নাম সরকারি রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া। উত্তরাধিকার সূত্রে বা ক্রয় সূত্রে বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে নামজারী করা আবশ্যক। নামজারী করার নিয়ম:
১. সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারীর জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমানে অনলাইনেও নামজারীর আবেদন করা যায়।
২. আবেদনপত্রের সাথে নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
* জমির মালিকানার প্রমাণপত্র (যেমন: বন্টননামা, ক্রয় দলিল, ওয়ারিশ সনদ)।
* খতিয়ানের অনুলিপি।
* দাখিলা বা খাজনার রশিদ।
* আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি।
* প্রয়োজনে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র।
৩. আবেদন ফি এবং নোটিশ জারী ফি অনলাইনে বা সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
4. সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক জমির রেকর্ড ও দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
5. প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্ত করা হতে পারে।
6. সকল কিছু সঠিক থাকলে নামজারীর অনুমোদন দেওয়া হবে এবং নতুন খতিয়ান তৈরি হবে।
7. অনুমোদিত হলে ডিসিআর (DCR) ফি প্রদান করে খতিয়ানের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
বর্তমানে ই-নামজারীর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নামজারী সম্পন্ন হওয়ার কথা।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে, সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে, বন্টননামা দলিল না থাকলেও শুধু ওয়ারিশগণের যৌথ আবেদনের ভিত্তিতে নামজারী করা যাবে। তবে, ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে বন্টননামা করে নেওয়া উত্তম।